তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান মোল্যা বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কায়ূম মোল্যাকে (৪৪) পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন।স্থানীয় একাধিক সূত্রে যানা যায় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সদস্য করা নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মধ্যে রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে কথা কাটা কাটি হয়।
এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজাহান মোল্যা ডহরনগর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মুক্তার হোসেনকে মোবাইলে জানাই মুক্তার হোসেন স্কুলে পৌছায়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কায়ূম মোল্যাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বোয়ালমারী থানায় পাঠিয়েদেন। পরে রাতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অানোয়ার হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান মোল্যার উপস্থিতিতে থানা থেকে মুচলিকা দিয়ে ছাড়া পান সভাপতি
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজাহান মোল্যার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝামেলার কারনে সভাপতিকে পুলিশ আটক করে। রাতে মুচলিকা দিয়ে তিনি থানা থেকে ছাড়া পান।
আটক কৃত বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কায়ূম মোল্যা বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছে গত ৫ মাসের স্কুলের হিসাব নিকাসের ভাউচার চাওয়া কে কেন্দ্র করে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় প্রধান শিক্ষক পুলিশকে ফোন করে আমাকে ধরিয়ে দেন।
ডহরনগর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মুক্তার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কায়ূ।ম মোল্যা লোক জন নিয়ে স্কুলে ডুকে রেজুলেশনে জোর করে সাক্ষর নিতে গেছিল। এ সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে জানালে সভাপতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বোয়ালমারী থানায় পাঠানো হয়েছে।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, রুপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কায়ূম মোল্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সভাপতি মুচলিকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।